Time travel (বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা)

  • দণ্ডের দৈর্ঘ্য (বন্ধুর)
  • Time travel নিয়া আমার আগের একটা পোষ্ট আছে,ওই টা পড়ার পরে এটা পড়লে বিষয় টা ভালো ভাবে বুজতে পারবেন বলে আমার মনে হয়।
  • ============= সেদিন কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের এক বন্ধুর সাথে দেখা ।
  •  বন্ধু : কিরে কি খবর।
  •  আমি :এইতো। তা তোর খবর কি ? 
  • বন্ধু : আছি আর কি। আইচ্ছা দোস্ত একটা বিষয় ক্লিয়ার কইরা দেতো। 
  • আমি : কি?
  •  বন্ধু : অই যে আইনস্টাইনের আলো নিয়া কি বালছাল আছে না অগুলা। সেদিন কই জানি বিষয়টা নিয়া একটু আধটু শুনসিলাম। কি জানি, একটা ট্রেন আলোর বেগে যায়। সময় বড় হইয়া যায়, দৈর্ঘ্য ছোটো হইয়া যায় তারপর ওজন বাইরা যায় এসব আর কি। 
  • আমি : হা হা হা । এডি জাইনা তুই কি করবি? এডি তো বহুত কঠিন জিনিস।
  • আমাগোরই জান বাইর হইয়া যায়। তোর জন্য তো আরও কঠিন।
  •  বন্ধু : আরে একটু সহজ কইরা বুঝা না। অঙ্ক টঙ্ক বাদ দিয়া। এই কিউরিসিটি আর কি ।
  •  আমি : আইচ্ছা ঠিক আছে। আমি জদ্দুর বুঝি তদ্দুর বুঝাই। 
  • বন্ধু :ফাস্টে সবকিসু কেমনে লম্বায় ছোটো হইয়া যায় হেইডা বুঝা।
  •  আমি :ওকে। মনে কর তুই একটা ট্রেনে আর আমি মাটিতে দাড়ায়া আছি। 
  • বন্ধু : হু।
  •  আমি : ট্রেনটা স্থির।ট্রেনের ভিতর তোর হাতে একটা দণ্ড শোয়ান অবস্থায় আছে। তুই মাইপা দেখলি দণ্ডের দৈর্ঘ্য মনে কর এক মিটার। আমিও জানি যে ওইটার দৈর্ঘ্য এক মিটার। 
  • বন্ধু : হু। 
  • আমি :এবার ধর তোর ট্রেন প্রচণ্ড বেগে আমার ডানদিক বরাবর জাইতে লাগল। বেগটা আলোর বেগের কাছাকাছি। আলোর বেগ হইলো প্রতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল। 
  •  বন্ধু : বাপরে !
  •  আমি :এখন যদি তোর হাতের দণ্ডটা আমি দেখতে পাইতাম তাইলে ওইটারে কিরকম দেখতাম?
  •  বন্ধু :তুইতো দেখবিই না। কারণ আমি ট্রেনে করে চলে যাচ্ছি।
  •  আমি : ধর কোন একভাবে আমি তোরে সহ ট্রেনের ভিতর সবকিসু দেখতাসি। 
  • বন্ধু : এইডা কেমনে হয়। 
  • আমি : আরে বেটা ধর না। এগুলা হইলো থট এক্সপেরিমেন্ট। মনে মনে এই এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। 
  • বন্ধু :আইচ্ছা ঠিক আছে (সন্দেহের সাথে) ।
  •  আমি : এখন আমরা কোন বস্তু দেখি যখন বস্তুটা থেকে আমাদের চোখে আলো এসে পড়ে। ট্রেনের ভিতর অই দণ্ডের দুই প্রান্ত থেকে আলো এসে আমার চোখে পরলেই আমি দণ্ডটার পুরো দৈর্ঘ্য দেখতে পাব। 
  • বন্ধু : হু।
  •  আমি :এখন আমি দণ্ডটা দেখতেসি মানে হল দণ্ডটার ডানপ্রান্ত আর বামপ্রান্ত, দুই প্রান্ত থেকেই আমার চোখে সবসময় আলো আসতেসে।যেহেতু তুই আমার ডানদিক বরাবর গতিশীল তাইলে দণ্ডের ডানপ্রান্ত আমার থেকে দুরে আর বাম্ প্রান্ত কাছে।
  •  বন্ধু : হু।
  •  আমি : এখন বল, কোন প্রান্তের আলো আমার কাছে আগে আসবে। 
  • বন্ধু :বাম প্রান্তের আলো। 
  • আমি :গুড । এখন বাম প্রান্তের আলো যখন আমার চোখে এসে পরতেসে তখনও কিন্তু ডানপ্রান্তের আলো আমার কাছে আসে নাই। কারণ অইপ্রান্ত আমার থেকে দুরে অবস্থান করে। অইপ্রান্তের আলোকে এখনও দণ্ডের সমান দুরুত্ত অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু আমিতো দণ্ডটার পুরা দৈর্ঘ্যটাই দেখতে পাইতেসি। তাইলে যে দণ্ডটা দেখতেসি সেটার ডানপ্রান্তর আলো আসলে কোন আলো? এই আলোটা হচ্ছে ডানপ্রান্তের কিছু সময় আগেকার আলো। অর্থাৎ আমি ডানপ্রান্তের কিছু সময় আগের ইমেজটা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু এই কিছু সময় আগে দণ্ডটা আরেকটু আগের অবস্থানে ছিল।অর্থাৎ দণ্ডটা একটু ছোটো হয়ে যাবে । সুতরাং তুই যতই আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে জাইতে থাকবি আমি ততই দেখব যে, দণ্ডের ডানপ্রান্ত আস্তে আস্তে বামদিকে সরে আসছে। অর্থাৎ ছোটো হয়ে আসছে। তুই যদি একেবারে আলোর বেগে যাইতি তাইলে আমি দেখতাম যে তোর দণ্ডের দৈর্ঘ্য জিরো। কিছু বুজলি........................? . . . . . . . . কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে আমার বন্ধুটা ধমকে আমাকে বলল, " ধুর বেটা, এত্ত কিছু মনে মনে ধইরা টইরা শ্যাশে আইসা তুই আমার দণ্ডের দৈর্ঘ্য জিরো বানায়া দিলি......মজা পাইসস........."
  •   Facebook liink:

No comments

Powered by Blogger.