point of the view(দৃষ্টিভঙ্গী)
#কুমিল্লায় তখন আমার প্রথম পর্দারপন,পলিটেকনিক ক্যাম্পাস সহ কোটবাড়ির মোটামুটি সব কিছু নতুন,পরিচয় বলতে গেলে প্রথম ৬ মাসে খুব কম মানুষের সাথেই হয়েছিল,সবার সাথে যে খুব একটা ভালো
মিসতাম তাও না,কিন্তু দুই একটা বড় ভাইকে খুব মিস করি, যদিও তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো,তার পরে ও তাদের সাথে কথাবার্তা বেশিই হতো,কিছু জানার জন্য হলেও তাদের সাথে বেশি বেশি কথা বলতাম,চলাফেরা মোটামুটি হতো তাদের সাথেই,যানি না তারাও কেন যানি আমাকে আদর করতো খুব,এরই মধ্যে দুই,তিন সেমিস্টার চলে গেল,ক্যাম্পাসেরর কয়েকজনের সাথে ভালো পরিচয় হলো তাদের সাথে ও চলাফেরা শুরু হলো,আসলে আমি খুব আড্ডা বাজ বলা যায়,,সবাই যখন সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে চিন্তিতো তখনো আমাকে পরিক্ষা চিন্তা কাবু করতে পারতো না,যদিও পড়ালেখা টা কমই করতাম তাও নিজেকে হিরো ভাবতাম,আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইপ টা এমন ই,বুজে কম পড়লেও মোটামুটি পারা যায়,তাই আমি যাই পড়তাম বুজে পড়ার চেষ্টা করতাম,তাই বলে যে আমি ভালো ছাত্র ছিলাম তা নাহ,কিন্তু আড্ডাতে ভালো সেটা বলা যায়,,তো বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের সাথেই কথা বার্তা হতো তার মধ্যে মাসুদ ভাই ছিল আমার প্রিয়,তিনি তখন সম্ভবত মাস্টার্স এ পড়তেন,আমার মনে হয় খুবই ইন্টেলিজেন্ট মানুষদের মধ্যে তিনি চিলেন একজন,তারা কথা বার্তা চাল চলন সব কিছু থেকেই আমার মত ইতরদের অনেক কিছু শিখার ছিল,তো একদিন বিকালের কথা,সম্ভবত ক্যান্টবোড মার্কেটে যাইতেছি,তারই মধ্যে ভাইয়ের সাথে দেখা,তখন সবারই প্রিয় জায়গা ছিল সালমানের টি স্টল,ভাই ওই খানেই বসা ছিল,আমাকে দেখা মাত্রই ডাক দিলো,আমি পিছন দিকে তাকিয়েই দেখি ভাই,আমাকে বলছে চা খেয়ে যাও,পূর্নপূর্ন অনুরোধে আমার অনিচ্ছা ব্যাতিরিকে তা গিলতে হলো,সালমানের চায়ের দোকানের পাসে একটা ছিপা যায়গা ছিল,আর এই জায়গায় টা সালমানের বিশেষ কাস্টমাদের জন্য বারাদ্দ ছিল,তো চা খেতে খেতে ওই দিকে নজর গেল,আর দেখলাম আমার এক ইয়ার মেট চলাপেরা ও করতাম তার সাথে,মনের সুখে,আহার অমৃত গ্রহন করতেছে,এমন টা আমাকে হতাশা করছিল,আসলে কেন যানি আমি তখন এসব ছেলেদের খুব খারাপ জানতাম,
#আমি জাজমেন্টাল টাইপের ছিলাম নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর গুরুত্ব টা আমার কাছে বেশি ছিল আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে আমার কাছে যাকে খারাপ লাগতো আমি তাকেই খারাপ ভাবতাম,
#তো জাজমেন্টাল বলে কথা সম্ভবত আমার এই চিনারি টা মনে ধরে নি,আর পাশে তাকিয়েই দেখতে পেলাম মাসুদ ভাইয়ো তা লক্ষ্য করছে,আর আমি কিছু না বলে ভাই কে জিগাসা করলাম ভাই এটা তো ঠিক না,এতো অল্প বয়সে সিগারেট খাওয়া টা, আর সত্যি বলতে ভাই ছেলেটার প্রতি আমার খুব খারাপ লাগতেছে ,ভাই জানতো ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড হয়,সো আমার এই ব্যাপার টা মেনে না নেওয়ারই কথা,আমি যখন ভাইকে প্রশ্ন করলাম ভাই এটা কি ঠিক?ভাই বললো আমি ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বলছি না,উত্তর টার মধ্যে আমার কেমন যানি মনে হলো কিছু লুকিয়ে আছে,আবার প্রশ্ন করাতে ভাই বললো,আরমান আমরা সব কিছু বাহির থেকে বিচার করি,হ্যা আমি মানছি ছেলে টা ভুল করতেছে,কিন্তু তুমি জান আমাদের প্রতি বছর টোটাল বাজেটের ২৫%টাকা আমরা পাই এই তামাক জাতিয় দ্রব্য থেকে,আমি বললাম হুম ভাই পাই তো কি হইছে,তখন তো আরো অভাক করা উত্তর,বলে দেখ তামাক আমাদের দেহের ক্ষতি করে এটা সত্য কিন্তু এই তামাক থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আমরা আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলো করতেছি,এতে চিকিৎসা নিয়ে,ভালো হচ্ছে,হাজার হাজার মানুষ আমরা কি তা অস্বিকার করতে পারি,আমার না সূচক মাথা নাড়ানি,তা হলে ভাবো ওদের মতো কয়েক জন ছেলেরা যদি সিগারেটের নেশা না থাকতো তা হলে সরকার ব্যাট পেত না,আর আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলোও হতো না,সত্যি ওরা আমাদের রক্ষা করতেছে,, দেখ ওদের টাকা দিয়ে কিন্তু অনেক জ্ঞানী লোক ও চিকিৎসা নিয়ে ভালো হচ্ছে,যাদের এই পৃথিবীতে টিকে থাকার অনেক প্রয়োজন,
ওই দিণ ভায়ের এমন উত্তর সত্যি আমার মন বরিয়ে দিয়েছিল, আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গীর কন্টোল সে দিন ই আয়ত্ত করতে পেরেছি,
দৃষ্টিভঙ্গীতা মানুষের জিবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে,
তা আমি আগে উপলব্দি করি নি,
মিসতাম তাও না,কিন্তু দুই একটা বড় ভাইকে খুব মিস করি, যদিও তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো,তার পরে ও তাদের সাথে কথাবার্তা বেশিই হতো,কিছু জানার জন্য হলেও তাদের সাথে বেশি বেশি কথা বলতাম,চলাফেরা মোটামুটি হতো তাদের সাথেই,যানি না তারাও কেন যানি আমাকে আদর করতো খুব,এরই মধ্যে দুই,তিন সেমিস্টার চলে গেল,ক্যাম্পাসেরর কয়েকজনের সাথে ভালো পরিচয় হলো তাদের সাথে ও চলাফেরা শুরু হলো,আসলে আমি খুব আড্ডা বাজ বলা যায়,,সবাই যখন সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে চিন্তিতো তখনো আমাকে পরিক্ষা চিন্তা কাবু করতে পারতো না,যদিও পড়ালেখা টা কমই করতাম তাও নিজেকে হিরো ভাবতাম,আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইপ টা এমন ই,বুজে কম পড়লেও মোটামুটি পারা যায়,তাই আমি যাই পড়তাম বুজে পড়ার চেষ্টা করতাম,তাই বলে যে আমি ভালো ছাত্র ছিলাম তা নাহ,কিন্তু আড্ডাতে ভালো সেটা বলা যায়,,তো বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদের সাথেই কথা বার্তা হতো তার মধ্যে মাসুদ ভাই ছিল আমার প্রিয়,তিনি তখন সম্ভবত মাস্টার্স এ পড়তেন,আমার মনে হয় খুবই ইন্টেলিজেন্ট মানুষদের মধ্যে তিনি চিলেন একজন,তারা কথা বার্তা চাল চলন সব কিছু থেকেই আমার মত ইতরদের অনেক কিছু শিখার ছিল,তো একদিন বিকালের কথা,সম্ভবত ক্যান্টবোড মার্কেটে যাইতেছি,তারই মধ্যে ভাইয়ের সাথে দেখা,তখন সবারই প্রিয় জায়গা ছিল সালমানের টি স্টল,ভাই ওই খানেই বসা ছিল,আমাকে দেখা মাত্রই ডাক দিলো,আমি পিছন দিকে তাকিয়েই দেখি ভাই,আমাকে বলছে চা খেয়ে যাও,পূর্নপূর্ন অনুরোধে আমার অনিচ্ছা ব্যাতিরিকে তা গিলতে হলো,সালমানের চায়ের দোকানের পাসে একটা ছিপা যায়গা ছিল,আর এই জায়গায় টা সালমানের বিশেষ কাস্টমাদের জন্য বারাদ্দ ছিল,তো চা খেতে খেতে ওই দিকে নজর গেল,আর দেখলাম আমার এক ইয়ার মেট চলাপেরা ও করতাম তার সাথে,মনের সুখে,আহার অমৃত গ্রহন করতেছে,এমন টা আমাকে হতাশা করছিল,আসলে কেন যানি আমি তখন এসব ছেলেদের খুব খারাপ জানতাম,
#আমি জাজমেন্টাল টাইপের ছিলাম নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর গুরুত্ব টা আমার কাছে বেশি ছিল আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে আমার কাছে যাকে খারাপ লাগতো আমি তাকেই খারাপ ভাবতাম,
#তো জাজমেন্টাল বলে কথা সম্ভবত আমার এই চিনারি টা মনে ধরে নি,আর পাশে তাকিয়েই দেখতে পেলাম মাসুদ ভাইয়ো তা লক্ষ্য করছে,আর আমি কিছু না বলে ভাই কে জিগাসা করলাম ভাই এটা তো ঠিক না,এতো অল্প বয়সে সিগারেট খাওয়া টা, আর সত্যি বলতে ভাই ছেলেটার প্রতি আমার খুব খারাপ লাগতেছে ,ভাই জানতো ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড হয়,সো আমার এই ব্যাপার টা মেনে না নেওয়ারই কথা,আমি যখন ভাইকে প্রশ্ন করলাম ভাই এটা কি ঠিক?ভাই বললো আমি ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বলছি না,উত্তর টার মধ্যে আমার কেমন যানি মনে হলো কিছু লুকিয়ে আছে,আবার প্রশ্ন করাতে ভাই বললো,আরমান আমরা সব কিছু বাহির থেকে বিচার করি,হ্যা আমি মানছি ছেলে টা ভুল করতেছে,কিন্তু তুমি জান আমাদের প্রতি বছর টোটাল বাজেটের ২৫%টাকা আমরা পাই এই তামাক জাতিয় দ্রব্য থেকে,আমি বললাম হুম ভাই পাই তো কি হইছে,তখন তো আরো অভাক করা উত্তর,বলে দেখ তামাক আমাদের দেহের ক্ষতি করে এটা সত্য কিন্তু এই তামাক থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আমরা আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলো করতেছি,এতে চিকিৎসা নিয়ে,ভালো হচ্ছে,হাজার হাজার মানুষ আমরা কি তা অস্বিকার করতে পারি,আমার না সূচক মাথা নাড়ানি,তা হলে ভাবো ওদের মতো কয়েক জন ছেলেরা যদি সিগারেটের নেশা না থাকতো তা হলে সরকার ব্যাট পেত না,আর আমাদের দেশের হাসপাতাল গুলোও হতো না,সত্যি ওরা আমাদের রক্ষা করতেছে,, দেখ ওদের টাকা দিয়ে কিন্তু অনেক জ্ঞানী লোক ও চিকিৎসা নিয়ে ভালো হচ্ছে,যাদের এই পৃথিবীতে টিকে থাকার অনেক প্রয়োজন,
ওই দিণ ভায়ের এমন উত্তর সত্যি আমার মন বরিয়ে দিয়েছিল, আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গীর কন্টোল সে দিন ই আয়ত্ত করতে পেরেছি,
দৃষ্টিভঙ্গীতা মানুষের জিবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলে,
তা আমি আগে উপলব্দি করি নি,
nice story
ReplyDeleteThankYou..
Delete